1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031
এই মাসের ঘটনা সমূহ

ইসায়ী সনঃ মে ৬৩২ ইসায়ী ।
হিজরী সনঃ রবিউল আউয়াল ১১ হিজরি ।
বর্ণনাঃ রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কেরাম রা. সম্মিলিতভাবে আবু বকর রা.-এর হাতে খিলাফাতের বাইআত হন। তার খিলাফাতের সময়কাল ছিল ২ বছর ৪ মাস (হিজরি সন অনুযায়ী) রবিউল আউয়াল ১১ হিজরি- জমাদিউস সানি ১৩ হিজরি [৬৩২ ইসায়ী- ৬৩৪ ইসায়ী]।

তার নাম আবদুল্লাহ। আবু বকর তার উপনাম। তার উপাধি ছিল সিদ্দিক ও আতিক।
পুরুষদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহন করেছিলেন। খলিফা মনোনীত হওয়ার পরেও তিনি কাপড় বিক্রি করে জীবিকা চালাতেন। মুসলিমদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সিকি পয়সাও নিতেন না।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর মাথাচারা দিয়ে ওঠা তিনটি বৃহৎ ফিতনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হন।

খিলাফাতে রাশিদা: আবু বকর রা.-এর মাধ্যমেই খিলাফাতে রাশিদার সময়কাল শুরু হয়। মূলত আবু বকর রা., উমর ফরুক রা., উসমান রা. এবং আলি রা. এর খিলাফাতের সময়কালকে খিলাফাতে রাশিদা বলা হয়। যা রবিউল আউয়াল ১১ হিজরি থেকে শুরু করে রবিউল আউয়াল ৪১ হিজরি পর্যন্ত পুরো ৩০ বছর সময়কাল ছিল। খিলাফাতে রাশিদা ৩০ বছর থাকার ভবিষ্যৎবানী সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত।[১]
এই সময়কালকে এ জন্যে খিলাফাতে রাশিদা বল হয় যে, পরিপূর্ণভাবে ইসলামি রাজনীতি ও নবীজির প্রদর্শিত শাসনব্যবস্থার এটাই ছিল আদর্শ উদাহরণ। এ কারণেই উম্মত সর্বসম্মতিক্রমে এই কথার ওপর একমত যে, খুলাফায়ে রাশিদিনের সকল কথা ও কাজও শরয়ি দলিল। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুলাফায়ে রাশিদিনের সুন্নাতের উপর চলতে এবং তাদের পদ্ধতি দাঁত কামড়ে আঁকড়ে ধরতে বলেছেন।[২]

[১] সুনানুত তিরমিজি, হাদিস নং- ২২২৬, আলবানি রহ. বলেন, হাদিসের মান সহিহ।
[২] সুনানু আবি দাউদ, হাদিস নং- ৪৬০৭
তথ্যসূত্রঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ২য় খন্ড, পৃঃ ১৬৩, ১৬৫, ১৬৯, ৪৩৯; ৩য় খন্ড, পৃঃ ৪৪৬

ইসায়ী সনঃ মে ৬৩৬ ইসায়ী ।
হিজরী সনঃ রবিউস সানি ১৫ হিজরি ।
বর্ণনাঃ আমিরুল মুমিনিন উমার ফারুক রা. মুসলিদের জন্যে পৃথক জনপদ গড়ে তোলা ও সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে ইরাকের শ্রেষ্ঠ আবহাওয়া সমৃদ্ধ জায়গা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।

তখন অনুসন্ধান করে নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বসরা ও কুফানগরী গড়ে তোলা হয়। সেখানে অনেক শীর্ষস্থানীয় সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুমকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এর ফলে সেখানে ঈমান ও মারিফত এবং ইলম ও প্রজ্ঞার নতুন বাড়িঘর আত্মপ্রকাশ করে।
তথ্যসূত্রঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা: ৩০৫, ৪৪০

ইসায়ী সনঃ মে ৬৪২ ইসায়ী ।
হিজরী সনঃ জমাদিউস সানি ২১ হিজরি ।
বর্ণনাঃ আল্লাহর তরবারি (সাইফুল্লাহ) খ্যাত মহান বীর মুজাহিদ ও সমরকৌশলী সাহাবি। রাদিআল্লাহু আনহু।

তিনি বেশ কয়েকটি যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। দেখুন: ইয়ামামা যুদ্ধ , জাতুস সালাসিল যুদ্ধ , ১ম ইয়ারমুক যুদ্ধ
তথ্যসূত্রঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ৪৪১

ইসায়ী সনঃ ১৩ মে ৫৬৯ ইসায়ী সোমবার।
মাক্কী সনঃ ৮ রমজান ।
হিজরী সনঃ ৮ রবিউল আউয়াল ।
বর্ণনাঃ
হিজরি সন মোতাবেক হিজরতপূর্ব ৫৫ বছর এবং মক্কি সন মোতাবেক হিজরতপূর্ব ৫৩ বছর ৪ মাস

রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের তারিখ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ বইয়ের লেখক সকল তারিখ বিশ্লেষনপূর্বক হিজরি সন (মাদানি সন) হিসেবে ৮ রবিউল আউয়াল এবং মক্কি সন হিসাবে ৮ রমজানকে প্রধান্য দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
তথ্যসূত্রঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ১৮৯-১৯১ , ২য় খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ১১৯

ইসায়ী সনঃ ১৫ মে ৬৫৬ ইসায়ী ।
হিজরী সনঃ ১৫ জিলক্বদ ৩৫ হিজরি ।
বর্ণনাঃ সাবায়ি নামক একটি ভ্রান্ত গোষ্ঠী মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি অপচেষ্টা করতে থাকে। দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে উসমান রা.-এর খিলাফাতের শেষের দিকে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা আমিরুল মুমিনিন খলিফাতুল মুসলিমিনের নামে বিভিন্ন অপবাদ রটাতে থাকে। এই দলটি মদিনায় আগমন করলে উসমান রা. নিজে কাঠগড়ায় দাড়ান। তাদের প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেন এবং তার জবাব শুনে সাবায়ি দল ঠায় বোবা হয়ে যায়। সাধারণ জনতা সমস্বরে তার সততার স্বীকৃতি দেয়। এরপরও তাদের ষড়যন্ত্র দমে যায় নি। পুনরায় তারা মদিনায় আগমন করে এবং মদিনা অবরোধ করে। এরপর তারা খলিফার উপর খাবার পানির অবরোধ আরোপ করে। একপর্যায়ে নিষ্ঠুর এই গোষ্ঠী খলিফাতুল মুসলিমিনকে হত্যা করে ১৮ জিলহজ, ৩৫ হিজরি (১৭ জুন, ৬৫৬ ই.)। যদিও তাদের দলে সাধারণ মুসলমান ছিল যারা মিথ্যা প্রোপাগান্ডার শিকার হয়েছিল।

সাবায়ি দলের প্রধান ছিলেন আবদুল্লাহ ইবনু সাবা। যে ইহুদি থেকে মুসলিম হয়েছিল। সাবায়িদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ১১২-১১৪
তথ্যসূত্রঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ১৫৪-১৬৪, ১৬৬-১৭২; ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ১৬৭

ইসায়ী সনঃ মে ৬৬৩ ইসায়ী ।
হিজরী সনঃ সফর ৪২ হিজরি ।
বর্ণনাঃ মহান বীর সাহাবি। তিনিই ইহুদি কাব বিন আশরাফকে হত্যা করে (৩য় হিজরি ১৪ রবিউল আউয়াল)।
যে ইসলামের বিরোধিতা ও রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার স্ত্রীদের নিয়ে নিন্দা করে কবিতা রচনা করত।
তথ্যসূত্রঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ৩৪৫-৩৪৬; ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ১৬৯

ইসায়ী সনঃ মে ৬৭২ ইসায়ী ।
হিজরী সনঃ জমাদিউল আউয়াল ৫২ হিজরি ।

তথ্যসূত্রঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ১৭২

ইসায়ী সনঃ মে ৬৮০ ইসায়ী ।
হিজরী সনঃ রজব ৬০ হিজরি ।
বর্ণনাঃ ইয়াজিদ ইবনু মুআবিয়া ক্ষমতায় আরোহণের পর সমগ্র ইসলামি দুনিয়ায় আমিরে মুয়াবিয়া রা.-এর ইনতিকালের সংবাদ এবং নিজের খিলাফাতের বাইআতের জন্য দূত ও প্রতিনিধি প্রেরণ করেন।
তথ্যসূত্রঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ১৭৭, ৪২৫

ইসায়ী সনঃ মে ৬৮০ ইসায়ী ।
হিজরী সনঃ মাসের শুরুর দিকে শাবান ৬০ হিজরি ।
বর্ণনাঃ মুআবিয়া রা. যখন ইয়াজিদকে পরবর্তী খলিফারূপে মনোনীত করেন তখন থেকেই হুসাইন ইবনু আলি রা. ও তার সাথে আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইর রা.-এর অভিমত ছিল, পরিবারতন্ত্র থেকে গা বাঁচিয়ে খুলাফায়ে রাশেদিনের শাসনামলের প্রশস্ত ভিত্তি শুরা ব্যবস্থাকে ওই ফিরিয়ে আনা উচিত।

যদিও মুআবিয়া রা.-এর উত্তরাধিকারী সরকার বা পরিবারতন্ত্রের সিদ্ধান্ত সার্বিকভাবে শরয়ি বৈধতার সীমার আওতাভুক্ত ছিল এবং তিনি উম্মাহর কল্যানকামী ছিলেন। কিন্তু আজিমতের (চূড়ান্তস্তরের) দাবি ছিল এ ব্যবস্থাপনাকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করা এবং ইসলামি রাজনীতির সঠিক অনুধাবনকে উদ্ভাসিত করা। যদিও উদরতার (রুখসত) আওতায় ইয়াজিদের বাইআত গ্রহন করা যেত (যেমনটা অনেক সাহাবি করেছেন)। কিন্তু হুসাইন রা. ও আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইর রা. বাইআত থেকে বিরত থাকেন আজিমতের (চূড়ান্তস্তরের) বিষয়টি চিন্তা করে।

এজন্য মদিনায় যখন ইয়াজিদের বাইআত গ্রহনের জন্য দূত প্রেরণ করা হয় তখন হুসাইন রা. ও আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইর রা. মদিনা থেকে মক্কায় চলে আসেন এই আশঙ্কয় যদি তারা বাইআত গ্রহন না করেন তবে তাদের উপর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রথমে আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইর রা. গমন করেন এবং এর দুই দিন পর হুসাইন রা.ও পরিবারসহ মদিনা থেকে মক্কা অভিমুখে রওয়ানা দেন।

প্রসিদ্ধ বর্ননামতে, হুসাইন রা. ২৭ বা ২৮ রজব রবিবার মদিনা থেকে বের হন এবং দ্রুত সফর করে ৩ বা ৪ শাবান শুক্রবার মক্কা মুকাররমা পৌঁছেন। তিনি সেখানে ৫ মাস অবস্থান করেন [৮ জিলহজ, ৬০ হিজরি পর্যন্ত ]।
তথ্যসূত্রঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ১১৩, ১৭৭-১৮১, ৪২৫

ইসায়ী সনঃ মে ৬৮০ ইসায়ী ।
হিজরী সনঃ মাসের শেষের দিকে রজব ৬০ হিজরি ।
বর্ণনাঃ মুআবিয়া রা. যখন ইয়াজিদকে পরবর্তী খলিফারূপে মনোনীত করেন তখন থেকেই হুসাইন ইবনু আলি রা. ও তার সাথে আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইর রা.-এর অভিমত ছিল, পরিবারতন্ত্র থেকে গা বাঁচিয়ে খুলাফায়ে রাশেদিনের শাসনামলের প্রশস্ত ভিত্তি শুরা ব্যবস্থাকে ওই ফিরিয়ে আনা উচিত।

যদিও মুআবিয়া রা.-এর উত্তরাধিকারী সরকার বা পরিবারতন্ত্রের সিদ্ধান্ত সার্বিকভাবে শরয়ি বৈধতার সীমার আওতাভুক্ত ছিল এবং তিনি উম্মাহর কল্যানকামী ছিলেন। কিন্তু আজিমতের (চূড়ান্তস্তরের) দাবি ছিল এ ব্যবস্থাপনাকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করা এবং ইসলামি রাজনীতির সঠিক অনুধাবনকে উদ্ভাসিত করা। যদিও উদরতার (রুখসত) আওতায় ইয়াজিদের বাইআত গ্রহন করা যেত (যেমনটা অনেক সাহাবি করেছেন)। কিন্তু হুসাইন রা. ও আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইর রা. বাইআত থেকে বিরত থাকেন আজিমতের (চূড়ান্তস্তরের) বিষয়টি চিন্তা করে।

এজন্য মদিনায় যখন ইয়াজিদের বাইআত গ্রহনের জন্য দূত প্রেরণ করা হয় তখন হুসাইন রা. ও আবদুল্লাহ ইবনু জুবাইর রা. মদিনা থেকে মক্কায় চলে আসেন এই আশঙ্কয় যদি তারা বাইআত গ্রহন না করেন তবে তাদের উপর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


তথ্যসূত্রঃ মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস বিশ্বকোষ, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ১১৩, ১৭৭-১৮০, ৪২৫